সিটিজেন নিউজ ডেস্ক
আপডেট: ২০২০-০৫-০৪ , ০৫:০৩ পিএম
ছবি: সিটিজেন নিউজ
চট্টগ্রাম নগরীর এক সময়ের মূর্তিয়মান আতঙ্ক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ খান। চাঁদাবাজি আর অস্ত্রের ঝনঝনানিতে কেঁপেছে পুরো নগরী। বহদ্দারহাটে ছাত্রলীগের ৮ খুনের ঘটনায় আতঁকে উঠেছে পুরো দেশ। গ্রেফতার আর কারাভোগেও স্বস্তি ছিলো না জনমনে। কারা অভ্যন্তরে থেকে চালিয়েছে চাঁদাবাজি, অস্ত্র ব্যবসা। আইনের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে জামিন নিয়ে পালায় দেশ ছেড়ে। কিন্তু চট্টগ্রামে রয়ে যায় তার গড়ে তোলা ৬ টি সিন্ডিকেটে বিশাল বাহিনী। সাজ্জাদের নির্দেশনায় থেমে নেই তাদের বাহিনী কতৃক অস্ত্র ব্যবসা আর চাঁদাবাজি।
শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ বাহিনীর ত্রাসের রাজত্বে চট্টগ্রামে আবার কারা কারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে- এমন অনুসন্ধান চালায় সিটিজেন নিউজ।
এরআগে কাতার থেকে শিবির ক্যাডার ম্যাক্সন-সরওয়ারের চাঁদাবজি শিরোনামে একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সিটিজেন নিউজ। ওই প্রতিবেদনে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত সরওয়ার-ম্যাক্সনের গ্রুপে যারা চাঁদাবাজি ও অস্ত্র ব্যবসা করতো তাদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসলে সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদনের সত্যতা পায় পুলিশ। পরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্রসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে বায়েজিদ থানা পুলিশ। লিংক: চট্টগ্রামে শিবিরের ৫ ক্যাডার অস্ত্রসহ গ্রেফতার
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভারতে পালিয়ে থাকা শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ খানের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে চট্টগ্রামে কাজ করছে ৯ জন। এদের মধ্যে সাজ্জাদের অন্যতম সহযোগী দুর্ধর্ষ ক্যাডার আজরাইল দোলোয়ার ২০০৫ সালে র্যাবের সাথে, আরমান হাজারী ২০১৫ সালে পুলিশের সাথে এবং মহিন উদ্দিন ২০১৭ সালে র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। এই তিনজনের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ৪৬টি মামলা ও অর্ধশত জিডি ছিলো নগরীর বিভিন্ন থানায়।
সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করা অবিশিষ্ট ৬ জনের নিয়ন্ত্রণে ৫টি গ্রুপে রয়েছে প্রায় ৩০ জন। এরা সাধারণত থার্ড লেভেলে থেকে ৫ ধরনের কাজ করে। বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মোবাইল নাম্বার ও পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা। এসব বিষয়ে সেকেন্ড লেভেলকে অর্থাৎ সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ডদের অবহিত করে পরবর্তী নির্দেশনা নেয়া। নির্দেশনা অনুযায়ী চাঁদার দাবিতে ব্যবসায়ীকে ফোন করে হুমকি দেয়া। হালকা অস্ত্র মজুদ ও ব্যবহার করা এবং চাঁদার টাকা গ্রহন করে সেকেন্ড লেভেলকে পৌঁছে দেয়া।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড হয়ে সক্রিয় অবস্থানে যে ৬ জন চট্টগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করছেন তারা হলেন, মো: ফিরোজ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকাইয়া আকবর, সরওয়ার ওরফে বাবলা, নূরনবী ওরফে ম্যাক্সন ও মঈনুদ্দিন রাশেদ ওরফে ভাগিনা রাশেদ। এই ৬ জন সক্রিয় ও সতর্ক অবস্থানে থাকলেও ইতিমধ্যে এদের মধ্যে ঢাকাইয়া আকবর এবং মো: ফিরোজ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছে।
এদের সবার সাথে সাজ্জাদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রের দাবি। এই ৬ জনের রয়েছে আরও ৫টি সিন্ডিকেটে অন্তত ৩০ জন। প্রতি সিন্ডিকেট বা গ্রুপে রয়েছে ৫-৭ জন করে সদস্য। যারা হালকা অস্ত্র রক্ষনাবেক্ষন, ব্যবহার ও মাঠ পর্যায়ে কাজ করলেও এই সিন্ডিকেট লিডার বা সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড ৬ জনের মধ্যে ৫ জনের হেফাজতে রয়েছে ভারী অস্ত্রের ভান্ডার।
মো: ফিরোজ। ২০১১ সালে তার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয় প্রকাশ্যে আসলেও উত্থান হয় ২০০১ সালে সাজ্জাদ একে ৪৭ রাইফেল নিয়ে গ্রেফতারের সময়। ওই সময় থেকে বিভিন্ন ধরনের চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও অস্ত্র বেচাকেনার সাথে ধীরে ধীরে সম্পৃক্ত হতে থাকে ফিরোজ। পরে ২০১১ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে একটি রোগ নির্ণয়কেন্দ্র থেকে ১১ লাখ টাকা লুট করে। ওই মামলায় ফিরোজকে গ্রেফতার করে তার আস্তানা থেকে বিশাল অস্ত্র ভান্ডার আবিস্কার করে পুলিশ। যেখান থেকে ১২ রাউন্ড গুলিভর্তি দুটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন, একটি একনলা বন্দুক, একটি বন্দুকের ব্যারেল, তিনটি কার্তুজ, দুটি চাপাতি উদ্ধার করে।
ফিরোজ ওই সময় পুলিশ কাছে স্বীকার করে অস্ত্রগুলোর মালিক শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ, ম্যাক্সন ও সরওয়ারের।
এরপর ২০১৫ সালে ফিরোজ জামিনে মুক্তি পেয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হয়ে তার ছবি ও বিলবোর্ড ব্যবহার করে আবারও শুরু করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম। ২০১৮ সালে চট্টগ্রামের আলোচিত তাসফিয়ার মৃত্যুর ঘটনায়ও জেলে যান শিবিরের টপ টেরর ফিরোজ। সবশেষ বায়েজিদ থানা পুলিশের হাতে পহেলা মে ১২ রাউন্ড গুলি ও ৫৪০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছে।
এছাড়াও কয়েকটি গ্যাং পরিচালনা করে ফিরোজ। নগরের মুরাদপুর, নাসিরাবাদ, ষোলশহর ও পাঁচলাইশ এলাকায় সক্রিয় এই গ্রুপ।
আব্দুল্লাহ আল মামুন। ১৯৯৯ সালের ২ জুন স্থানীয় কাউন্সিলর লিয়াকত হত্যা এবং ২০০০ সালের ১২ জুলাই নগরীর বহদ্দারহাটে ব্রাশ ফায়ারে ছাত্রলীগের ৮ জন কর্মীকে হত্যার দুটি ঘটনার আগে থেকে শিবিরের সাজ্জাদ ও ফাইভস্টার জসিম, মামুনের বাসায় অস্ত্র মজুদ রাখতো। হঠাৎ তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে ২০০০ সালের ১০ জুন মামুন পাড়ি জমায় দুবাইতে। সেখানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তার ভিসা বাতিল করে দেশে ফেরত পাঠায় দুবাই সরকার। পরে দেশে এসে তথ্য গোপন করে মো: আব্দুল্লাহ নামে নতুন একটি পাসপোর্ট তৈরি করে ২০০৩ সালের দিকে আবার দুবাই পাড়ি জমায়। পরে দেশে থাকা শিবির ক্যাডার সাজ্জাদ ২০০৪ সালের শেষের দিকে র্যাবের অভিযানে টিকতে না পেরে দুবাই গিয়ে মামুনের আশ্রয়ে ওঠে।
জানা যায়, সেখানে গিয়ে মামুন ও সাজ্জাদ নামমাত্র টাইলসের ব্যবসা শুরু করলেও চট্টগ্রামের চাঁদাবাজি ও অস্ত্রের সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতো একসাথে।
পরে দুবাইতে সাজ্জাদের সাথে ভারতের পাঞ্জাবের (জা কৌ জে) নামে একটি মেয়ের সম্পর্ক হলে ২০১০ সালে দুবাইর হায়াত এজেন্সিতে ছোট পরিসরে বিয়ে হলেও কিছুদিন পর চলে যায় ভারতের পাঞ্জাবে। সেখানে সাজ্জাদের জমজমাট বিয়ের আয়োজনে মামুন মোটা অংকের টাকা খরচ করে। ওই বিয়েতে মামুন ও সাজ্জাদকে একসাথে দেখা গেছে এমন ছবিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
পরে ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর সাজ্জাদ ভারতে গ্রেফতার হওয়ার পর তার জামিনের ব্যাপরে মামুন ৩০ লাখ টাকার মতো ব্যায় করে বলে সূত্রের দাবি।
জানা যায়, রাউজানের ছাত্রদলের খোকন নামে এক অস্ত্র ব্যবহারকারি বিভিন্ন সময়ে পুলিশের হাতে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়ে অস্ত্রের মূল মালিক মামুন বলে স্বীকারোক্তি দেয় খোকন। মামুনের চাচাতো ভাই রবিন নগরীর কালারপুল এলাকায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার হলে ওই অস্ত্রও মামুনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা বলে পুলিশকে জানায় রবিন।
সূত্র জানায়, মামুনের বাসায় একবার ডাকাতির ঘটনায় যাদের আসামি করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের কারা অভ্যন্তরে মারার জন্য শিবির ক্যাডার সরওয়ার ও ম্যাক্সনকে মোটা অংকের টাকা দেয় মামুন।
সূত্র জানায়, ওই ডাকাতির ঘটনা মামুনের সাজানো ছিলো। যাদের আসামী করা হয় তারা মামুনের প্রতিপক্ষ এবং তাদের শায়েস্তা করতেই এমন নাটক সাজানো হয়।
এছাড়াও মামুন কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন ও স্থানীয় এক স্কুলের নির্বাচনি প্রচারণার সময়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করতে শিবির ক্যাডার মো: ফিরোজকে ভাড়ায় আনা হয়।
ব্যর্থ হয়েছিলো নগরীর বায়েজিদ থানাধীন পূর্ব কুলগাঁও এলাকায় এক হিন্দু সম্প্রদায় লোকের জায়গা দখল করতে গিয়েও। ওই জায়গা সংক্রান্ত ইস্যুতে উজ্জল কুমার দেয়ানজী নামে একজন সিটিজেন নিউজকে জানান, জায়গাটি দখল করতে না পেরে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদকে দিয়ে ফোনে হুমকি ও চাঁদা দাবি করায় মামুন। পরে জায়গার মালিকসহ কয়েকটি সংগঠন মিলে প্রেসক্লাবের সামনে মামুনের বিরুদ্ধে মানববন্ধনও করা হয়।
ভোটার আইডিতে আব্দুল্লাহ আল মামুন আর বর্তমান পাসপোর্টে মো: আব্দুল্লাহ নিজেকে একজন আওয়ামী লীগের নেতা দাবি করেন সিটিজেন নিউজের কাছে। নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবেও। তিনি নিজেকে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে দাবি করলেও সাজ্জাদের সহযোগী হিসেবে জনশ্রুতি রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন, আইসিটি এ্যাক্ট, মারামারি ও জায়গা দখল, চাঁদাবাজির অভিযোগে সাধারণ ডায়েরীসহ বেশ কয়েটি মামলা রয়েছে।
অসমর্থিত একটি সূত্রের দাবি, আব্দুল্লাহ আল মামুনের বর্তমান পাসপোর্টের নাম মো: আব্দুল্লাহ। যে পাসপোর্ট ‘গলাকাটা পাসপোর্ট’ হিসেবে মো: আব্দুল্লাহ নামে শিবির ক্যাডার সাজ্জাদকে পাসপোর্টে তৈরিতে সহায়তা করে মামুন। যে পাসপোর্টে সাজ্জাদের নাম মো: আব্দুল্লাহ থাকায় তাকে ভারতে থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি বলে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্রের দাবি।
মৃত ইউনুসের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্তমানে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন বকসুনগর এলাকায় বসবাস করছেন।
ঢাকাইয়া আকবর, সরওয়ার ওরফে বাবলা ও নুরনবী ওরফে ম্যাক্সন। অনেকে বলেন, এরা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। সাজ্জাদের হাত ধরে এদের উত্থান এবং সাজ্জাদের বিশ্বস্ত অনুসারী। সিএমপিতে তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে রয়েছে-খুন, অস্ত্র, চাঁদাবাজি, জায়গা দখলসহ বিভিন্ন মামলা। ২০১১ সালের জুলাই মাসে ভারী অস্ত্র একে ৪৭, বিদেশি পিস্তল, বন্দুক, শুটারগান, এলজি, ম্যাগজিনসহ একে রাইফেলের ২৭টি গুলিসহ তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এদের মধ্যে পলাতক ম্যাক্সন বর্তমানে কোনও অপরাধের সাথে জড়িত না বলে দাবি করেন সিটিজেন নিউজের কাছে। বর্তমানে কারাগারে আছে সরওয়ার ও ঢাকাইয়া আকবর। এদের মধ্যে সরওয়ারকে জেল থেকে বের করতে ওয়াজেদিয়া কওমি মাদ্রাসার জনৈক এক ব্যক্তি মোটা অংকের বাজেট করেছেন। একইসাথে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের একজন বিদ্রোহী প্রার্থীকে নির্বাচনে জয় লাভ করানোর জন্যও ইনভেষ্ট করছেন বলে সূত্রের দাবি।
মঈনুদ্দিন রাশেদ ওরফে ভাগিনা রাশেদ। তিনি সাজ্জাদের ভাগিনা। বিভিন্ন সময়ে তিনি ভারতে যাতায়াত করেন সাজ্জাদের সাথে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং করতে। চট্টগ্রামের চাঁদার টাকা হুন্ডির মাধ্যমে সাজ্জাদের কাছে পৌঁছানোর দায়িত্বও তার। ২০০৫ সালের দিকে তাকে একবার র্যাব আটক করে। ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসেও তার নানির চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে সাজ্জাদের সাথে দেখা করে এবং সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে দিল্লী ও আজমীর শরীফসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরে আসেন।
চট্টগ্রামে সাজ্জাদের সক্রিয় এই ৬ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় ৩০ জনের কয়েকটি গ্রুপ। থার্ড লেভেলে থেকে কাজ করা এই গ্রুপে আছে- গিয়াস, এরশাদ, আজাদ, বাবুল, গিট্টু মানিক, রুহুল আমিন ওরফে হাসান, এনাম, আজিজ, আ: কাদের সুজন, পারভেজ, সুইডেন সোহেল, আকতার, জাবেদ, মিজান, ইয়াছিন, আরিফ, রাসেল, রুবেল, রায়হান, জসিম উদ্দিন রানা, গিট্টু নোমান, মহিউদ্দিন, রাজন, ইকবাল, বেলাল, মোরশেদ, বাছা মিয়া, মান্নান ও শাহজাহান।
এদের মধ্যে অস্ত্রসহ গ্রেফতার হয়ে কয়েকজন কারাগারে আছেন। রাজন দুবাই পালিয়েছে। বাকিরা সক্রিয় অবস্থানে আছে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এদের চাঁদাবাজির বিষয়ে নাম উঠে এসেছে।
এ বিষয়ে সিএমপির উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক সিটিজেন নিউজে বলেন, আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। এর আগেও অস্ত্রসহ কয়েকজন গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে শিবির ক্যাডার ঢাকাইয়া আকবর এবং তার দুই সহযোগী ও আরেক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার মো: ফিরোজকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
নগর বিশেষ শাখার (সিটিএসবি) উপ পুলিশ কমিশনার আব্দুল ওয়ারিশ সিটিজেন নিউজকে জানান, সিএমপিতে অবস্থান করা সকল সন্ত্রাসীদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। অনেকের তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে।
তিনি বলেন, তথ্য গোপন করে কাগজপত্রে বা দল-মত নির্বিশেষে কেউ অপরাধ কর্মকাণ্ড চালালে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই খোঁজ-খবর নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি সিটিজেন নিউজকে বলেন, ‘আপনার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আবার প্রকাশিত হোক-এটা আমি চাই। কারণ, অনুসন্ধানী প্রতিদেনগুলোকে আমরা গুরুত্বের সাথে দেখি এবং সে আলোকে আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়ে থাকে।’
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘সন্ত্রাসী যে দলেরই হোক, সে ভোল পাল্টে যতই আওয়ামী লীগ করুক বা ছাত্রলীগ, যুবলীগ করুক; সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতের তথ্য পেলে কেউ ছাড় দেয়া হবে না।’
সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান সিটিজেন নিউজের এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি নগর বিশেষ শাখার ডিসি এবং তার বরাবরে ফরওয়ার্ডের জন্যও বলেন।
আরও পড়ুন:
শিবির ক্যাডার সরওয়ারের ২ সহযোগী অস্ত্রসহ গ্রেফতার
আরেক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ফিরোজ বায়েজিদে গ্রেফতার
অস্ত্রসহ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ঢাকাইয়া আকবর গ্রেফতার
শিবির ক্যাডার সরওয়ারের হেফাজতে `আরও অস্ত্র’ রয়েছে!
অবৈধ অস্ত্র ভাণ্ডার রয়েছে শিবির ক্যাডার সরওয়ারের হেফাজতে
শিবির ক্যাডার সরওয়ার ইমিগ্রেশনে গ্রেফতার; আনা হচ্ছে চট্টগ্রামে
শিবির ক্যাডার সরওয়ার-ম্যাক্সন কাতারে গ্রেফতার!
চট্টগ্রামে শিবিরের ৫ ক্যাডার অস্ত্রসহ গ্রেফতার
Editor in Chief : Roman Sheikh
Telephone : +88 02-431 800 48
Mobile : +88 017 111 43 818
Email Address :
news@citizennews.com.bd
info@citizennews.com.bd
editor@citizennews.com.bd
Contact Address :
Shah-Alam Mansion (2rd floor)
Oxygen Central Jam-e Masjid-Bylane
Oxygen More, Bayazid Bostami-4213, Chattogram, Bangladesh